প্রেজেন্টশন সিরোমনিতে কথা বলতে গিয়ে গলাটা কি একটু কাঁপলো? চোখের কোণে জমলো জল? ম্যাচ শেষে আর কখনও তো এভাবে নিয়ম করে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়ানো হবে না, ধারাভাষ্যকার এসে মাশরাফিকে খুঁজে নেবেন না অবধারিতভাবে, ক্যামেরার চোখ তাক করা থাকবে না মাশরাফির দিকে। সব শেষ হয়ে গেল গতকাল, তুলি দিয়ে সেই শেষ আঁচড়টা দেয়ার সময় একটুও কি খারাপ লাগেনি মাশরাফি? মনটা ভেঙে শত-সহস্র টুকরা হয়নি? আমাদের তো হয়েছে ক্যাপ্টেন!
নড়াইলের সেই স্বপ্নবাজ ছেলেটা, যার নেশা ছিল স্কুল পালিয়ে চিত্রা নদীতে ঝাঁপ দেয়া, প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে লিচু-কলা চুরি করা, বিকেল হলেই কাদায় ভরা ফুটবল মাঠে নেমে পড়া- সেই ছেলেটা কিনা ক্রিকেটার হয়ে গেল! বাংলাদেশের ক্রিকেট তার মতো আগুয়ান পেসার এর আগে কখনও দেখেনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ডিওন ইব্রাহিম আর গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের স্ট্যাম্প উপড়ে দিয়েই বার্তাটা দিয়েছিলেন মাশরাফি- তিনি রাজত্ব করার জন্যে এসেছেন ক্রিকেটে! তিনি প্রতিপক্ষকে 'ধরে দেবানি' বলে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্যে এসেছেন!
#Mashrafe #Mortaza #Biography
![](https://i.ytimg.com/vi/-MwcqBNxnyU/maxresdefault.jpg)