মহাকর্ষ শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সূর্য কে কেন্দ্র করে পৃথিবী নিজ অক্ষে আবর্তন করছে
ও নির্দিষ্ট কক্ষ পথে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। এটিই পৃথিবীর গতি।পৃথিবীর এই
গতি দুই প্রকার।যথাঃ
১.আহ্নিক গতি
২.বার্ষিক গতি
আহ্নিক গতি :
পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে দিনে একবার নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে। পৃথিবীর এই আবর্তন গতিই দৈনিক গতি বা আহ্নিক গতি নামে পরিচিত। নিজ অক্ষের চারদিকে আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ এক দিন।
আহ্নিক গতির মূল কারণ হলো-
১. পৃথিবীর আবর্তন এবং
২. পৃথিবীর আকৃতি ।
১.পৃথিবীর আবর্তন গতিঃ
পৃথিবীর আহ্নিক গতি ঘটার মূল কারণ, পৃথিবী নিজ অক্ষে আবর্তন ।এই আবর্তনের
নির্দিষ্ট সময়কাল রয়েছে।২৪ ঘন্টায় পৃথিবী একবার ঘূর্ণন বা আবর্তন সম্পন্ন করে,
এই আবর্তন ঘটে পশ্চিম থেকে পূর্বে ।
২. পৃথিবীর আকৃতি:
পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার হলেও উভয় মেরুতে কিছুটা চাপা ও নিরক্ষরেখা বরাবর
কিছুটা স্ফীত। নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর ব্যাস সর্বাপেক্ষা অধিক হওয়ায় এই অঞ্চলে
আহ্নিক গতির বেগও সর্বাপেক্ষা অধিক।এই বেগ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার।
আহ্নিক গতিবেগ ক্রমশ কমতে কমতে দুই মেরুর নিকটবর্তী আবার নিরক্ষরেখা থেকে
উত্তরে বা দক্ষণে এই গতিবেগ ক্রমশ কমতে থাকে৷ পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে
এ গতিবেগ শূন্যের কাছাকাছি।
ফলাফল :
১.দিন-রাত সংগঠন
২.সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত
৩.ছায়াবৃত্ত
৪.প্রভাত ও সন্ধ্যা
৫.ঊষা ও গোধূলি
৬.সময় গননা
৭.জোয়ার-ভাটা
৮.সমুদ্র স্রোত ও বায়ু প্রবাহের পরিবর্তন
৯.পৃথিবীতে জীবের সৃষ্টি
আহ্নিক গতি যদি না থাকতো তাহলে পৃথিবীর অর্ধাংশে দিন এবং বিপরীত অর্ধাংশে চিরকালরাত বিরাজ করতো।অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্ব বিকশিত হওয়া সম্ভব হতো না।
আল্লাহ হাফেজ
১০.১১.২০২২
Ещё видео!