গোলাপ গ্রাম সাদুল্লাহপুর,শ্যামপূর যাওয়ার পর অনুভূতি । Golap Gram Sadullapur । Shampur
আমরা সকাল ৮ টায় উত্তরা ১০ নাম্বার সুইস গেইট থেকে মিরপুর গামী লেগুনাতে উঠলাম । এবং মিরপুর দিয়াবাড়ী দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাঁটে নামলাম সকাল ৮-৪০ মিনিটে ভাড়া নিল ৩০ টাকা। দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটে যাওয়াটা মুগ্ধ হওয়ার মতো , কুয়াশায় ঘেরা চারপাশ দেখে,চোট বড় পণ্য বাহী জাহাজ,বহু দূর বিস্তৃত লাউখেত, আর লাউয়ের মাচায় বসে থাকা অসংখ্য পাখি। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য ।দেখতে দেখতে কখনযে সাহদুল্লাহপুর ঘাট চলে আসলাম তা নিজেরাই অনুদাবন করতে পারিনি ।
সাহদুল্লাপুর ঘাটে পৌঁছানোর পর ১০০ বর্ষী বট গাছ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মেতে উঠলাম দুষ্টমিতে কিছু সময় কাটালাম বট গাছের শ্যামল ছায়ায়।তার পর বট গাছের নিচে বসে চা-নাস্তা করে নিলাম । কিছু দূর হেটে অটো ভাড়া করে মাত্র ১০ মিনিটে চলে আসলাম শ্যামপূর কারন শ্যামপূরে সব চাইতে বেশি গোলাপের চাষ হয়। আমরা যতটা ভেবেছিলাম তার থেকেও বেশি সুন্দর এই গ্রাম। পুরোটাই যেন গোলাপের বাগান! যত দূর চোখ যায়, শুধু লাল গোলাপের সমারোহ।
ঢাকার কাছেই এমন ফুলের বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছিলাম। সত্যিই অসাধারণ।’
যেকোনো বাগান থেকে কথা বলে গোলাপ কিনে নেয়া যায় । তবে সেখানে ৫০ টার কম গোলাপ বিক্রি করা হয় না। আমরা একটা বাগান থেকে ৫০ টা গোলাপ কিনে নিলাম ১২৫ টাকা দিয়ে এবং বাগানের মালিক কে রিকুয়েস্ট করে পচন্দ মত নিজ হাতে বাগান থেকে গোলাপ তুলে নিলাম।
২-৩ ঘণ্টা গোলাপের রাজ্যয় কাটিয়ে ফিরে আসলাম বাজারে,সেখানে ভাত, ভর্তা, সবজি, ছোট মাছ,মুরগী,ডাল ইত্যাদি দিয়ে দুপুরের খাবার সেরে নিলাম খাবারের মান মোটামুটি মাযারী মানের ।তাই ভাল হয় ঢাকা থেকে সঙ্গে করে খাবার নিয়ে গেলে।
বিকাল ৩ টায় আমরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে মিরপুর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাবেন (এটা মিরপুর এর দিয়াবাড়ি, উত্তরার না)।
বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পর পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছাড়ে। সাহদুল্লাহপুর যেতে যেতে ৪০ মিনিট ৫০ মিনিট লাগবে। সেখানে একেক জনের জন্য ২৫ টাকা করে নিবে । নৌকা কিন্ত ৬ টার পর চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তাই সন্দা হবার আগে ফেরার চেষ্টা করবেন।
Song: Legendary
Artist: Amadeus
Video link: [ Ссылка ]
![](https://i.ytimg.com/vi/CLMSAIrXsO8/maxresdefault.jpg)