প্যারেড পোকার চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করে। কম খরচে। মাছ, হাঁস-মুরগি ও গাছের খাদ্যের তৈরি করা যায়। ফলে আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি বাড়ির বর্জ্য পরিশোধন করে, গুণগতমানের সারও পেতে পারি। তা ছাড়া পোল্ট্রি বা ডেইরি ফার্মে এই পোকার লার্ভা চাষ করে একদিকে যেমন প্রোটিনসমৃদ্ধ জীবন্ত খাদ্য পাওয়া যায়, অন্যদিকে ফার্মের বর্জ্য পরিশোধন করাও সম্ভব।
এই পোকা বিভিন্ন প্রকার পচনশীল দ্রব্যের মাঝে ডিম থাকে যেমন রান্নাঘরের তরিতরকারির উচ্চিষ্টাংশ, ফল-মূলের খোসা, সরিষার খৈল পচা, গম পচা ইত্যাদি বিশেষভাবে । শীতকালে এদের খুব একটা দেখা যায় না। এ সময় এরা ময়লা-আবর্জনার মাঝে নিজেদের লুকিয়ে রেখে। শীতকাল অতিবাহিত করে।
চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে পোকার লার্ভা বেরিয়ে আসে।
সদ্যোজাত লার্ভা পচনশীল দ্রব্যাদি খেয়ে খুব দ্রুত বড় হতে থাকে। এ অবস্থায় লার্ভা ১৬-২০ দিন অতিবাহিত করে এবং প্রি-পিউপা অবস্থায় উপনীত হয়। এ প্রি-পিউপা দেখতে কিছুটা কালচে-বাদামি রঙের হয়। এবং পুুষ্টিমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পেঁৗছে। এ অবস্থায় এরা খাদ্য গ্রহণের স্থান ত্যাগ করে শুষ্ক ও নিরাপদ স্থানের খোঁজে, হামাগুড়ি দিয়ে অগ্রসর হতে থাকে। খাদ্যের পাত্রের মাঝে একটি বিশেষ ধরনের সিঁড়ি স্থাপন করে এদের আহরণ করা হয়। এ প্রি-পিউপা উপযুক্ত স্থানে পেঁৗছানোর পর পিউপায় পরিণত হয়। নিশ্চল অবস্থায় ১২-১৪ দিন অতিবাহিত করার পর খোলস ভেদ করে পূর্ণাঙ্গ পোকা বেরিয়ে আসে। [ Ссылка ]
![](https://i.ytimg.com/vi/LsNHsmquDE4/mqdefault.jpg)