খ্রীস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম,বুদ্ধত্বলাভ ও মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্তি হয় বলে এই দিনটি ত্রি- স্মৃতিবিজড়িত, একই পূর্ণিমাতে এই তিন ঘটনাত্রয় সংঘটিত হওয়ায় বৈশাখী পূর্ণিমা -বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে খ্যাত,
------------
বৈশাখী পূর্ণিমা গাথা
বৈশাখী পূর্ণিমা তিথি অতি শুভক্ষণ,
ধর ভরা চন্দ্র আলো অতি সুশোভন।
থোকা থোকা জোনি পোকা তরু শাখা ধরি,
ঝিকি মিকি করিতেছে চন্দ্র আলো করি।
সরোবরে কুমুদিনী পেয়ে চন্দ্র আলো,
ফুল্ল মনে বলে আহা আজি বড় ভালো।
এমন পূর্ণিমা দিনে লুম্বিনী উদ্যানে,
বুদ্ধাঙ্কুর জন্ম নিল অতি শুভ ক্ষণে।
জন্ম ক্ষণে বসুন্ধরা সশব্দে কাপিঁয়া,
আনন্দ প্রকাশ করে সাধুবাদ দিয়া।
স্বর্গে থাকি দেবগণ সাধুবাদ করে,
আনন্দে পুরিত ধরা বুদ্ধাঙ্কুর হেরে।
জন্ম মাত্র “জ্যেষ্ঠ আমি শ্রেষ্ঠ আমি বলি”,
ধরাধামে প্রকাশিল হস্ত এক তুলি।
আনন্দেতে পাখী কুল বিস্তারিয়া ডানা,
হেলে দুলে নাচে আর শব্দ করে নানা।
মৃদু মন্দ বহি বায়ু আনন্দ জানায়,
পাপী তাপী ত্রাণ কর্তা এল এই ধরায়।
এহেন পবিত্র দিনে নৈরঞ্জনা তীরে,
সুজাতার পায়সান্ন খেয়ে ধীরে ধীরে।
গয়াধামে বোধিমূলে বসি মায়া ধন,
সব রাত্রি মারসনে করি ঘোর রণ।
সর্বক্লেশ বিনাশিয়া লভি বোধি জ্ঞান,
বুদ্ধ নামে খ্যাত হল জগত প্রধান।
বহুবিধ অলৌকিক শক্তি সহকারে,
পঞ্চচত্তারিংশ বর্ষ জগত মাঝারে।
সুধাময় নবধর্ম করিয়া প্রচার,
নরদেব ব্রহ্মদের করি উপকার।
অশীতি বৎসর পূর্ণে করুনা নিকর,
কুশীনারা শালবনে গিয়ে অতঃপর।
শুভ্র জ্যোৎস্না আলো ধৌত গগনের তলে,
বৈশাখী পূর্ণিমা দিনে দেব-নর দলে।
কাদাঁইয়া নির্বাণ লভে বুদ্ধধন,
জ্ঞানদ্বীপ নির্বাপনে কাঁদিল ভূবন।
ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত এই শুভ মহাদিনে,
সবে মিলি শ্রদ্ধা ভরে কায়-বাক্য-মনে।
নত শিরে বন্দি সবে সুগত-চরণ,
এই পূণ্যে হয় যেন দঃখ বিমোচন।
![](https://i.ytimg.com/vi/Mj_vwLA340w/maxresdefault.jpg)