১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য শান্তিচুক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় এসে অনেকগুলো গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ নেন যার মধ্যে পার্বত্য শান্তিচুক্তি অন্যতম। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে স্বাধীনতার আগে থেকেই পাকিস্তানসহ বিভিন্ন বহিরাগত শক্তির প্রভাবে সশস্ত্র বিল্পবের চেষ্টা করতে থাকে কিছু সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর সেনা শাসন শুরু হলে তৎকালীন স্বৈর শাসকেরা সন্ত্রাস দমনের নামে নির্বিচারে আদিবাসীদের জমি দখল করা শুরু করে। বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানই সমতলের মানুষদের পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসীদের জমি-ভিটা দখল করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে এই বাস্তবতাটি উপলব্ধি করেন যে দেশের এক-দশমাংশ এলাকা অস্থিতিশীল রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। শুরু থেকেই এ সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করার চেষ্টা করেন। এই চুক্তি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদে বিরোধী দলের নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষণা করেন, এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে ফেনী নদী পর্যন্ত ভারতের অংশ হয়ে যাবে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তাঁর উপস্থিতিতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইতিহাসে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া এধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া এবং ২৪ বছর পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকা অত্যন্ত বিরল।
#শেখহাসিনা
#বাংলাদেশ
#পার্বত্যচট্টগ্রাম
পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস | পার্বত্য শান্তিচুক্তি ১৯৯৮ | Sheikh Hasina | CHT Peace Treaty
Ещё видео!