Shaheed Dr. Mohammad Samsuzzoha is the first martyred intellectuals of Bangladesh who has been sacrificed his own life for saving the lives of his students which is so rare in the history of Bangladesh.
This video is actually an overview on Dr. Samsuzzoha. That means what was happen the then in 1969? How did the death of sir Zoha forward the spirit of our liberation war in 1971? Why he was shot down? What was the message from Dr. Samsuzzoha? Why does 18th February not declare as the National Teachers' Day?

Here we tried to answer all the FAQs raised above regarding Dr. Samsuzzoha. And raise an ultimate voice for the acknowledgement to make 18th February as the "National Teachers' Day".

Music/ Sound copyright : We are indebted to www.youtube.com and other owners of the used music e.g. sarod, war music etc.

ড. শামসুজ্জোহা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি, যিনি কিনা ছাএদের জন্য প্রাণদানের অনন্য নজির স্থাপনকারী।

১৯৩৪ সালের ১লা মে দিনটিকে চিরস্মরণীয় করে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা। ১৯৪০-১৯৪৮ বাঁকুড়া জেলা স্কুলে পড়াশোনা ও ম্যাট্রিকুলেশনে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ন হন প্রথম শ্রেণীতে। ১৯৫০ সালে বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ন হন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায়। ১৯৪৭! হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পরে অবিভক্ত বাংলায়। দাঙ্গর ভয়াবহতা উপলদ্ধি করে শামসুজ্জোহার পরিবার সিদ্বান্ত নেন পূর্ব পাকিস্তানে আসার। অত:পর স্নাতক(সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে যথাক্রমে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ন হন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর।

১৯৬১ সালে যোগদান করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হিসাবে। যোগদানের অল্পকিছুদিনের মধ্যেই উচ্চ ডিগ্রীলাভের জন্য স্কলারশিপ পান যুক্তরাজ্যের Imperial College এ।
*******

১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সাল।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হক খুন হয় ঢাকার কুর্মিটোলা সেনাক্যম্পে। দেশের অস্থির অবস্থা ক্রমশ যেন ধাবিত হতে থাকে অচল অবস্থার দিকে।১৭ ফেব্রুয়ারি, দ্রোহের আগুনে পোড়া ছাএসমাজ সাড়া দেয় সর্বদলীয় ছাএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে।বিক্ষোভ মিছিল হয় সমগ্র রাজশাহী শহর জুড়ে। লাঠিচার্জে ছএভঙ্গ হতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ১০-১২জন ছাএকে, নিয়ে যায় বোয়ালিয়া থানায়। প্রিয় শিক্ষক ড. জোহার কাছে এই খবর পৌছাতেই ছুটে যান ছাএদের কাছে, প্রতিবাদ করেন এই ঘটনার এবং আহত শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করান।বিকালে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে বাংলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক সেমিনারে ছাত্রদের রক্তমাখা জামা পরিহিত অবস্থান স্যার ড. জোহা বলেছিলেন, "আপনারা দেখেছেন আমার গায়ে রক্ত, আমার প্রিয় ছাএদের পবিত্র রক্তের স্পর্শে আজ আমি উজ্জীবিত। এরপর থেকে শুধু ছাএদের নয় প্রয়োজন বোধে শিক্ষকদেরও রক্ত দিতে হবে। আমি কথা দিচ্ছি এরপর যদি গুলি করা হয় কোন ছাএের গায়ে লাগার আগে সেই গুলি আমার গায়ে লাগবে"।

১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয় প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার শর্তে ৩ জন করে শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইটে থামিয়ে দেওয়া হয় তাদের। যেকোন মূল্যে মিছিল করতে দৃড় প্রতিজ্ঞ ছাত্ররা বাগবিতণ্ডায় জড়ায় পুলিশ, ইপিআর কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর জোয়ানদের সাথে।

ড. জোহা তার সহকর্মী আব্দুল খালেক(সহকারী প্রক্টর) ও অন্যান শিক্ষকদের নিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

গুলি করতে উদ্ধত হওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উর্দ্দেশ্যে বারবার বলছিলেন, "প্লিজ ডোন্ট ফায়ার, আমার ছাএরা এখনই ফিরে যাবে ক্যাম্পাসের দিকে"।

আচমকাই গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয় চারদিক, তড়িৎ গতিতে আতঙ্ক ও উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়লো ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের উল্টো দিকে মহাসড়কের পাশেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আর্তদান করতে থাকেন ড. জোহা। হায়েনারা গুলিবিদ্ধ জোহাকে বেয়োনেট চার্জ করে অতকির্তে, হাসপাতালে না পাঠিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রাখে রাজশাহী মিউনিসিপাল পুলিশের একটি ভ্যানে। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা রক্তক্ষরণের ফলে মরণাপন্ন অবস্থায় তৎকালীন ডিসি ও সিভিল অফিসারদের জরুরি নির্দেশে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ড. জোহাকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক বেশী দেরী হয়ে যায়, অপারেশন থিয়েটারে সর্বাত্মক চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ড. দত্ত। ত্যাগ করেন শেষ নিশ্বাস। বন্ধ হয় সমস্ত আত্নচিৎকার, পড়ে থাকে শুধু নিথর, সলিন, ক্ষও -বিক্ষত দেহাবশেষ। প্রিয় সঙ্গীনি নিলুফার জোহা, শিশুকন্যা ডালিয়া ও অজস্র শুভাকাঙ্খীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হন সকলের প্রিয় জোহা স্যার। সমাহিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র প্রশাসন ভবনের সামনে। বাংলাদেশের প্রথম বুদ্ধিজীবি ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জোহার পবিএ রক্তস্নাত পথ ধরে ৬৯'র গণ আন্দোলন রূপ পেয়েছিল গণ অভ্যুত্থানে, সেই পটভূমি অনুসরণে স্বাধিকার আন্দোলন আর ৯মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীন সর্বভোম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

"পূবের জাগ্রত সূর্য যতদিন পশ্চিমে গড়াবে ততদিন বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি ও ছাত্রদের জন্য প্রাণদানের অনন্য নজির স্থাপনকারী ড. শামসুজ্জোহার স্মৃতি ততদিন সমুজ্জ্বল থাকবে এই স্বাধীন বাংলায়।"

নিশ্চয় কোন একদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষক দিবস.......
#RU_Admission2018 #JnU_Admission2018 #PUST_Admission2018

свернуть