ভেড়ার বৈশিষ্ট্যের একটি জাত গাড়ল। বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় অনেক উদ্যোক্তা গাড়ল পালন করে বেশ লাভের মুখ দেখছেন। চাকরির পেছনে না ছুটে যদি শিক্ষিত বেকার তরুণরা গাড়ল পালনে এগিয়ে আসে তাহলে অল্প দিনেই সফলতা মুখ সহজেই দেখতে পাবে। সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় গত তিন বছরে গাড়লের ৩ থেকে ৪টি খামার গড়ে উঠেছে। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক গৃহস্থ ও কৃষক গাড়ল পালন করছেন। গাড়ল ভেড়ার একটি জাত।
এরা ভেড়ার মতোই নিরীহ ও বোকা। দেখতে ভেড়ার চেয়ে কিছুটা সুন্দর। অনেকটা দুম্বার মতো। জানা যায়, গাড়ল পালন করা খুবই লাভজনক। এতে খরচ কম হয় লাভ হয় বেশি। দেশে গাড়ল পালনের অপার সম্ভবনা রয়েছে। স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় এর মাংসের চাহিদা ব্যাপক। গাড়ল দেখতে ভেড়ার মতো হলেও ভেড়া নয়। ভারতের নাগপুর অঞ্চলের ছোট নাগপুরি জাতের ভেড়ার সঙ্গে আমাদের দেশি ভেড়ার ক্রসব্রিড। এই ক্রসব্রিডের নাম গাড়ল।
গাড়ল এবং ভেড়ার সমন্বয়ে জন্ম নেওয়া বাচ্চাকে ক্রসব্রিড বলা হয়েছে। গাড়ল ভেড়ার থেকে বড় হয় এবং এর লেজ লম্বা হয়। বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার ধাপ এলাকায় নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা যমুনা গাড়ল খামার এর প্রো. মো. আশরাফ আলী বলেন, প্রায় তিন বছর আগে ছেলেকে নিয়ে ৪০ শতক জায়গার ওপর গাড়লের খামার গড়ে তোলেন। তাদের খামারে প্রথমে মেহেরপুর, টাঙ্গাইল জেলা থেকে গাড়ল সংগ্রহ করা হয়। গাড়ল বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে। এ জন্য পালন করা খুব সহজ। ভেড়ার জাত গাড়ল পশু হিসেবে কোরবানিও দেওয়া যায়।
গাড়ল সাধারণত কাঁচা ঘাস, গাছের পাতা, বিচুলী, ভূষি, খৈলসহ সব ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। ভেড়ারমতো গাড়লও একে উপরের অনুসরণ করে চলে। এ জন্য গাড়ল পালন করা অনেক সহজ।এদের রোগব্যাধি অনেক কম। এ জন্য গাড়ল পালন সহজ। প্রতি ৭ মাস পর পর গাড়ল বাচ্চা দেয়। প্রসবকালে ২টি পর্যন্ত বাচ্চা হয়। ৪ থেকে ৫ মাসের একটি গাড়লের বাচ্চার দাম ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, দিন দিন গাড়ল পালনে বাড়ছে কর্মসংস্থান। তার খামারে ৪ থেকে ৫ জন মানুষ কাজে নিয়োজিত। তিনি এলাকার অনেক বেকার যুবককে গাড়ল পালনে সহযোগিতা করেছেন। তাদের আজ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
Ещё видео!