নমস্কার দর্শক মন্ডলী ও পুরোহিতগন । পৈতা গ্রন্থি সম্পর্কে আজ আলোচনায় ছিলেন শ্রী সুবোধ চক্রবর্তী মহাশয়, আশা রাখছি তিনি আপনাদেরকে এই প্রক্রিয়াটি বোঝাতে পেরেছেন। আপনাদের এটা জানা প্রয়োজন যে পৈতার গ্রন্থি কখনোই শয়নকক্ষে করা উচিত নয় , আরো একটি ব্যাপার আপনাদের জানিয়ে রাখি কোন অসূচ বাড়ি প্রবেশ করলে পৈতা শোধন বা পরিবর্তন করতে হয়।
সামবেদে ব্রাহ্মণদের নবগুনে পৈতা তৈরি করা হয়।
এই নবগুণ হল -
সম - সবাইকে সমান চোখে দেখবেন । মুচি, মেথর, নিচু ,উঁচু।
দম - দেহের সমস্ত ইন্দ্রিয় কে দমিয়ে রাখা।
তপ - তপস্যা করা।
শৌচ -মন ও দেহকে পবিত্র রাখা।
ক্ষান্তী-ক্ষমা করা।
আর্যনং- সরল মন।
জ্ঞানও- চৈতন্য জ্ঞান থাকা।
বিজ্ঞানও -সর্বশ্রেষ্ঠ গীতার জ্ঞান হলো বিজ্ঞান।
আস্তিকও- ধর্মের প্রতি অটুট বিশ্বাস।
বেদ অনুযায়ী পৈতার দৈর্ঘ্য:
ঋকবেদ - বামস্কন্ধ হইতে নাভির নিম্ন স্থান পর্যন্ত।
সামবেদ - বাম বাহুর মূল স্থান হইতে ডান হাতের অরন্তি পর্যন্ত ।
যজুবেদ - বাম স্কন্ধ হইতে নাভি পর্যন্ত।
পৈতা শুদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পঞ্চগর্ব - গোময় অর্থাৎ গোবর , গোমূত্র, দুধ ,দই ,ঘী।
প্রথম দন্ডীর প্রথম মন্ত্র- ওঁ ব্রাহ্মণে নমঃ ।
ওঁ বিষ্ণুভে নমঃ ।
ওঁ মহেশ্বরায় নমঃ।
দ্বিতীয় দন্ডীরর প্রথম মন্ত্র - ওঁ বসুকায় নমঃ।
ওঁ পবনায় নমঃ ।
ওঁ অননায় নমঃ।
তৃতীয়দণ্ডীর প্রথম মন্ত্র - ওঁ সুক্রয় নমঃ।
ওঁ আদিত্যায় নমঃ।
ওঁ শুক্রাচার্যায় নমঃ ।
নতুন পৈতা গ্রহণ করে পুরনো পৈতা দেহের নিম্ন অংশ দ্বারা বাহির করিয়া হাতে নিয়ে প্রবর মন্ত্র ও গায়ত্রী মন্ত্র মনে মনে পাঠ করিতে হয়। এরপর নিম্নোক্ত মন্ত্র জব করিতে হয় -
ওঁ এতাবদ দিনপয্যন্ডং ব্রহ্ম তং ধারিতং
মায়া জীর্ণতাৎ ত্বৎ পরিত্যাগো গচ্ছ সুখ যথাসুখম।
আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি পৈতা গ্রন্থি অনেকেই অনেকভাবে করে থাকেন তবে আমাদের চ্যানেল কোন ভাবেই তার সমালোচনা করছে না। ধন্যবাদ 🙏
how to make poita পৈতা কিভাবে তৈরি করবেন
পৈতা তৈরীর পদ্ধতি poita toirir padhayati
pujar Ashor Bangali পূজার আসর বাঙালি পুরোহিত দর্পন
পৈতা পড়ার নিয়ম. poita porar niyom
পৈতা শোধন মন্ত্র poita sodhon mantra
পৈতা গ্রন্থি poita granthi
পৈতার নিয়ম poitar niyom
পৈতা কি poita ki
পৈতার অনুষ্ঠান poitar anusthan
পৈতার গুণ poitar guun
পৈতা বানানোর মন্ত্র poita bananor mantra
উপনয়ন uponoyan
