চুয়াডাঙ্গায় একটি বাঁওড় থেকে বাদল হোসেন গোলজার (৪৫) নামে এক নৈশ প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১১ টার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের বাঁওড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জেলেরা। আজ রোববার সকালে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত বাদল হোসেন একই উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের রেজাউল হক গোলজারের ছেলে। তিনি ওই বাঁওড়ের নৈশ প্রহরী ছিলেন। রাতে বাঁওড় পাহারা দিতে গিয়ে নৌকা উল্টে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন তিনি। তবে, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পরিবারের।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত ৯টার দিকে বেনীপুর বাঁওড়ে পাহারার জন্য ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে বের হয় বাদলসহ আরও ২ জন। এসময় বিলের মাঝখানে তাদের নৌকা উল্টে যায়। এতে নৌকায় থাকা সাজু ও মাসুম সাঁতারকেটে বাঁওড়ের কিনারায় উঠে আসলেও পানিতে নিখোঁজ হয় বাদল। পরে খবর পেয়ে দুই ঘন্টা প্রচেষ্টার পর বাদলের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।
নিহতের বাবা রেজাউল হক গোলজার জানান, বেনীপুর বাঁওড় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে অনেক কোন্দল রয়েছে। ওই কারণে আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে বাঁওড়ের পানিতে ফেলে দিতে পারে বলে ধারণা করছি। কারণ আমার ছেলে তো সাঁতার জানতো। অপর দুইজন উঠে আসলেও সে কেন আসতে পারলো না। বিষয়টি সন্দেহজনক।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত বাদল দুইটি হত্যা মামলার আসামী ছিলেন।
