কোন নাগরীকের মৌলিক অধিকার লংঘন হয়েছে কিংবা কোন বিষয়ে প্রচলিত আইনে প্রতিকার নেই এমন দুই’টি ক্ষেত্রে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে যে পিটিশন দায়ের করা হয় তাকে রীট বলা হয় , তাহলে দেখলাম রীট মূলত দুটি কারনে করা যেতে পারে
১. সংবিধানে বর্নিত নাগরীকের মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে এমন কোন বিষয়ে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য রীট পিটিশন দায়ের করা যেতে পারে
২. প্রচলিত আইনে প্রতিকার নেই এমন কোন বিষয়ে সংক্ষুব্দ্ধ ব্যাক্তি প্রতিকার চেয়ে মহামান্যা হাইকোটে রীট পিটিশন দায়ের করতে পারে
আরও একটি বিষয় পরিস্কার করে বোঝা দরকার তা হল কোন বেসরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে রীট মামলা চলে না । প্রতিপক্ষ হতে হবে রাষ্ট্র কিংবা তার কোন অঙ্গে নিয়োজিত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী
যেহেতু ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে তাই কোন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান যদি আপনার মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে তাহলে, আপনি রীট মামলা দায়ের করতে পারবেন না। আপনাকে যেতে হবে, দেওয়ানী আদালতে,
Ex- ধরে নেয়া যাক- আপনি একটি প্রাইভেট মেডিকেলে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত আছেন। আপনি ৫ বছর সুনামের সাথে কাজ করার পর, ম্যানেজমেন্ট যদি কোন কারণে আপনার উপর ক্ষিপ্ত হন, তাহলে কোন প্রকার কারণ প্রদর্শন ছাড়াই আপনাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার মনে হতেই পারে, এটি যদি সরকারী মেডিকেলে হয় তাহলে কি হবে?
কিভাবে রীট করতে হয়ঃ
১. এজন্য আপনাকে হাইকোর্টে গিয়ে একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলতে হবে ।
২. আইনজীবী আপনার রিটের কারনগুলো উল্লেখ করে একটি রীট পিটিশন লিখবে এবং উক্ত রীট পিটিশন টি হাইকোর্টে দাখিল করবে
৩. এবার রীট পিটিশনের উপর ভিত্তকরে আদালতে প্রাথমিক শুনানি হবে যা রুল শুনানি নামে বেশি পরিচিত
৪. উক্ত শুনানিতে আদালত বাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট হলে বিবাদীর উপর রুল জারি করবেন অর্থাৎ রুল শুনানিতে যদি আদালত মনে করে বাদী পক্ষের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি রিটের শর্তগুলো পূর্ণ করেছে তবে আদালত উক্ত রিটের জবাব দেওয়ার জন্য বিবাদীকে নির্দেশ দিবে যা রুল জারি নামে পরিচিত
৫. অনেকক্ষেত্রে বিষয়টি যদি তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন আদালত মনে করে তবে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এবং একই সাথে রুল জারি করতে পারে। আর যদি প্রাথমিক শুনানিতে আদালত বাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট সন্তুষ্ট না হয় তবে উক্ত রীট আবেদনটি খারিজ করে দিবে
৬. এবার বিবাদীর থেকে রুলের জবাব পাওয়ার পর উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আদালত চূড়ান্ত শুনানি গ্রহন করবেন
৭. উক্ত শুনানির উপর ভিত্তি করে আদালত সুচিন্তিত একটা ডিরেকশন দিবেন যা অনেকটা রায়ের মতো বলতে পারেন। আদালতের এই ডিরেকশন প্রদানের মাধ্যমে একটি রীট মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি হয়ে থেকে
তাহলে আমরা দেখলাম একটি রিটের পুরো প্রক্রিয়া কিভাবে স্মপদন হয়ে থাকে । প্রথমে রিটি পিটিশন আদালতে জমা দিতে হয় । উক্ত রিটি পিটিশনের উপর ভিত্তি করে রুল শুনানি হয় এর পরে আদালত রুল জারি করে । বিবাদি রুলের জবাব দেওয়ার পরে হয় চূড়ান্ত শুনানী । উক্ত শুনানীর উপর ভিত্তি করে আদালত ডিরেকশন প্রদান করে ।
আইনি বিষয় নিয়ে নিয়মিত আপডেট তথ্য পেতে লাইক দিয়ে রাখুন www.facebook.com/bdainkanun24
![](https://i.ytimg.com/vi/E9B7N9TnIms/maxresdefault.jpg)